ইয়েমেনে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
ইয়েমেনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন’র তথ্য মতে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ একটি গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারির স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে যাতায়াতকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বলছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার চেষ্টা করছে তারা। পেন্টাগনের জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য লোহিত সাগরে উত্তেজনা হ্রাস করা এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা। ওই অঞ্চলে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার বিষয়ে আমরা দ্বিধা করব না।
গেলো ১১ জানুয়ারি হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে যৌথভাবে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
দুদেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইউএসএস আইজেনহাওয়ারের মার্কিন যুদ্ধবিমান সোমবারের হামলায় অংশ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) জানিয়েছে, তাদের জোড়া ভয়েজার ট্যাঙ্কারের সহায়তায় চারটি আরএএফ টাইফুন মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে হামলায় অংশ নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস হুথিদের অসহনীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা হিসাবে এই হামলাকে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর কাছাকাছি অবস্থিত আল দাইলামি বিমান ঘাঁটি, তাইজ এবং বায়দা প্রদেশে হামলা চালানো হয়েছে।