আন্তর্জাতিক

ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের কমপক্ষে তিনটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, এই হামলা ‘কাতাইব হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং অন্যান্য ইরান-আনুষঙ্গিক গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে’ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ও জোট মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলার ‘সরাসরি প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে সূক্ষ্ম হামলা চালানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই পশ্চিম ইরাকের একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হন। তারপরই এ হামলা চালানো হলো।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সে সময় বলেছিল যে, একটি ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট দিয়ে আমেরিকান সৈন্যদের হোস্ট করা হয়েছে আল আসাদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে। ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি অনুসারে, এই গোষ্ঠীটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করে। গোষ্ঠীটি ইরাকে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ইরান-অনুষঙ্গী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। এটি সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশকিছু হামলার দাবি করেছে।

এক বিবৃতিতে অস্টিন ‘আইএসকে (ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী) আরও ধ্বংস ও অবনমিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরাকে বুধবারের হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনায় মার্কিন সামরিক কর্মীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তিনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকান স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না।’

অস্টিন বলেন, ‘আমরা এই অঞ্চলে সংঘাত বাড়াতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ এবং আমাদের সুযোগ-সুবিধা রক্ষার জন্য আরও ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আমরা এই গোষ্ঠীগুলো এবং তাদের ইরানি পৃষ্ঠপোষকদের অবিলম্বে এ হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অন্যদিকে, পৃথক এক বিবৃতিতে সেন্টকম বলেছে, ইরাকে বুধবারের হামলা চালানো হয়েছিল স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। যা ২০ জানুয়ারি পশ্চিম ইরাকের আল আসাদ বিমানঘাঁটিতে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া। সেন্টকম বলেছে, ‘এই হামলাগুলো হয়েছে (কাতাইব হিজবুল্লাহ) সদর দপ্তরে।’ তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকে লক্ষ্যবস্তু মিলিশিয়া স্থাপনাগুলো ঠিক কোথায় অবস্থিত, সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ দেয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন