অর্থনীতি

ভারতের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা দেবে সরকার

দেশের জরুরি মুহূর্তে আমদানির জন্য ভারত সরকারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুনের একটি তালিকা দেয়া হবে। বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারত সরকারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ করে পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন ইত্যাদি যাতে করে জরুরি মুহূর্তে আমদানি করা সম্ভব হয়। এটি নিশ্চিত করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে ভারত সরকারকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি পণ্য (যেমন হস্তশিল্প, ইলেক্ট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্যপণ্য) প্রবেশের সুযোগ তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া সেভেন সিস্টার্সে বসবাসরত মানুষ যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন তাদেরকে ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভ্রমণ করার ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বর্ডার হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে। এসময় মৌলভীবাজারে একটি বর্ডারহাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে জানালে ভারতীয় হাইকমিশনার যৌথভাবে উদ্বোধন করতে সম্মত হন।

এছাড়া নতুন করে বর্ডার হাট চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থানসমূহ চিহ্নিত করতে একসঙ্গে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যেকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠেয় একটি মেগা শো-এ বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

একই সঙ্গে উভয় দেশের পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ভারতে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ প্রোডাক্ট’ এবং বাংলাদেশে ‘বেস্ট অব ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট’ শো আয়োজনের পরামর্শও দেন প্রণয় ভার্মা।

বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন