আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমাতে রাজি ইইউ

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমাতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। হাঙ্গেরির বিরোধিতার কারণে তাদেরকে তেল আমদানিতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আপস করতে হয়েছে; এর ফলে পাইপলাইনে তেল আমদানিতে আপাতত ছাড় মিলেছে। জানিয়েছে বিবিসি।

ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। কিন্তু পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। আর এ কারণেই রাশিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরণের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করেছে। হাঙ্গেরি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল বলেছেন, নতুন এ চুক্তি রাশিয়ার যুদ্ধ ‘অর্থায়নের বিশাল একটি উৎস’ বন্ধ করে দেবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সবেরব্যাংক ও রাষ্ট্র-মালিকানাধীন তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমের ওপরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে, বলেছেন তিনি।

রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনে ইইউ সদস্য দেশগুলো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও প্রধানত হাঙ্গেরিই তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে আসছে।  

শেষ পর্যন্ত ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে ইইউতে আসা তেলের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড়’ দিয়ে এ আপস করতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান মিশেল।

এ কারণে নিষেধাজ্ঞা এখন মূলত সমুদ্রপথ দিয়ে যাওয়া তেলের ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে। ইইউ রাশিয়া থেকে যত তেল আমদানি করে তার দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্র দিয়ে যায়।

তবে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েন বলেছেন, রাশিয়া থেকে আমদানি দুই-তৃতীয়াংশের বেশিই বন্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কেননা, জার্মানি ও পোল্যান্ড স্বেচ্ছায় এ বছরের মধ্যে তাদের পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাকি যে ১০ থেকে ১১ শতাংশ থাকবে, তা মূল হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন