গাজীপুরে তিন সড়ক বন্ধ
আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে জেলার তিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। মোনাজাত শেষে আজ দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবারও খুলে দেয়া হবে।
ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর অংশ হিসেবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক বন্ধ রয়েছে। তবে এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন চলতে পারবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ভিড় বাড়ছে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। মধ্য রাত থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসছেন।
শেষ দিন ফজরের পর থেকেই বয়ান আর জিকিরে মুখর ইজতেমা ময়দান। এদিন ফজরের নামাজের পর হেদায়েতের বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর নসিহতমূলক কথা বলবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। আর সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার যোবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, রোববার আখেরি মোনাজাতে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন।
অন্যদিকে, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ব ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের মো. আলম, নরসিংদীর মো. শাহনেওয়াজ ও সিরাজগঞ্জের আল মাহমুদ। এ নিয়ে ইজতেমায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো।