আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মোটা চাল ও ধানের দাম খুব একটা বাড়েনি : খাদ্যমন্ত্রী

মোটা চাল ও ধানের দাম কিন্তু খুব একটা বাড়েনি। যেটা আটাশ, ঊনত্রিশ, শম্পাকাটারি, জিরাকাটারি যেটাকে নাজিরশাইল বা মিনিকেট বলে বিক্রি করে এটার দাম বেড়েছে। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ বুধবার (১ জুন)সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বিষয় কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই যে বিপুল পরিমাণ চাল যখন তারা (কোম্পানি) তুলে নিচ্ছে, প্যাকেট করতে লাগে তিন টাকা, বিক্রি করছে ১০ টাকা ১৫ টাকা বেশি দামে। এর জন্য তার বেশি দামে কিনে আনতেও সমস্যা নেই। এ কারণে যারা এদের কাছে চাল বিক্রি করছে তারা বাজারে ধানটাও প্রতিযোগিতা করে কিনছে। এরপরও কৃষক বলে তাদের লস হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ছয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যাগিং করে একই চাল যেটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পড়ছে, সেটা প্যাকেটজাত করে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। দেশের বাজার থেকে চাল কিনে প্যাকেটজাত করে তা আবার বিক্রি করা যাবে না। এজন্য একটি সার্কুলার জারির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ব্যাগিং প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে আগাম টাকা মিলারদের দিয়ে আসছে, এমনকি প্যাকেটও দিয়ে আসছে নওগাঁ, দিনাজপুর, বগুড়া ইত্যাদি স্থানে। আমরা সেগুলোও বন্ধ করেছি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে, এই সার্কুলার জারি করা যায় কিনা যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে। কালও আমাদের মিটিং হয়েছে। আমরা এটার সামারি রেডি করছি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য। কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব ও শিল্প সচিব- এই চারজন মিলে একটি মিটিং করবে ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে, উপায় বের করার জন্য।

তিনি বলেন, তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেবো না। আমাদের মেসেজটা, যেখানে তারা প্যাকেট করে সেখানে দেওয়া হয়েছে। এরা ছাড়া তো কেউ প্যাকেট করে না। খুচরা কিনে তারা প্যাকেট করতে পারবে না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রডাকশন বিক্রি করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সে যে মজুতের বিধান আছে এর বাইরে মজুত করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা এর তিনগুণ সে মজুত করতে পারবে। এর বাইরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুত।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক চালের বাজারে, আড়তে এবং মিলে এমনটি গ্রামাঞ্চলেও কৃষক ছাড়া কেউ যদি ধান কিনে মজুত রাখে সেখানেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

তিনি বলেন, আমি এটাও বলেছি এই মজুতদারদের মধ্যে দল-নির্দল কোনো কিছুই দেখার বিষয় নেই। কারণ মজুতদাররাই একটি ভিন্ন দল। আমি তো নির্দেশ দিয়েছি ১৯৭৪ এর স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টে মামলা করতে। সেখানে আমাদের ডিসি সাহেবরা একটু ভয় পান। আমি বলেছি এই অ্যাক্টেই মামলা করেন।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ মনে হয় হতাশায় ভুগছে যে কী হয় কী হয় এর জন্য মাসের চাল এক মাসের না কিনে তিন মাসেরটা একসঙ্গে কিনছে, এটাও কিন্তু (দাম বাড়ার) কারণ। আমি ভোক্তাদের বলতে চাই একসঙ্গে চার থেকে পাঁচ মাসের চাল কিনে বাজার অস্থিতিশীল করবেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন