আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দুধের দাম বাড়ালো মিল্ক ভিটা

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে দুধসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা। আজ বুধবার (১ জুন) থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড ব্যবস্থাপক (বিপণন-মিরপুর) শহীদুর রহমান।

তিনি বলেন, দুদিন আগে (২৯ মে) দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংস্থার দাবি, গো-খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহ খরচ বেড়েছে। এছাড়া বাজারের সঙ্গে বাস্তবতার নিরিখে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হয়েছে।

১জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। ‘পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি সেক্টর’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধে ৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। আগে যা ৭৫ টাকা ছিল। এ ছাড়া আধা লিটারের প্যাকেট ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫০ মিলি প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা; যা এতোদিন বিক্রি হয়েছে ২২ টাকায়।

মিল্ক ভিটা পাস্তুরিত তরল দুধ, টোল্ড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা সন্দেশ, চিজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে আসছে। সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সংস্থাটির এ বিপণন কর্মকর্তা জানান, এখন গো-খাদ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। পশুর খাদ্যে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও দাম বাড়িয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আগেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ভৈঠক শেষে মিল্ক ভিটা পণ্যের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। 

মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২০ সাল থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ২০২০–২০২১ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৩ লাখ টাকা লাভ করেছে।

 

এসআই/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন