ভোট গ্রহণ শেষ, কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ১২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ওই সময় পর্যন্ত দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডনে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ১২টি আসনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা ৫টি, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএন-এল) ৪টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৩টি আসনে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী।
ইমরান খানের পিটিআই পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হলেও নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরই মধ্যে পিএমএল-এন ও পিপিপির নীতি নির্ধারকেরা জোট সরকাররের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে কোন দল কত আসনে জিততে পারে সে সম্পর্কে দুটি দলের নেতারা পর্যালোচনা করছেন।
এছাড়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কত আসন জয়ী হয়ে আসতে পারে সে বিষয়গুলো আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
নির্বাচনের পর পাকিস্তানে সরকার গঠনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে অনেক মনে করছেন।
পিএমএল-এন ও পিপিপি দুই দলই মনে করছে, সরকার গঠন করতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হবে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে সরকার গঠনের বিষয়ে পিপিপির সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে পিএমএল-এন। নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে পিএমএল-এন-এর প্রার্থী।
উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা অন্যান্য বিষয়ের আলোকে প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফের নামও বিবেচনা করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নওয়াজ শরিফ।
অন্যদিকে পিপিপি সূত্র জানিয়েছে, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনার পর সরকার গঠনের কৌশল নির্ধারণ করা হবে।