সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলে গেলো ২০১৬ সালের পর থেকে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক অনিয়মিতি অভিবাসীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ইউরোপীয় বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সির (ফ্রন্টেক্স) একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি রুটে ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি অভিবাসীর আগমন ঘটেছে ইইউ অঞ্চলে।
২০১৬ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ হলেও গেলো ২০২২ সালের তুলনায় অভিবাসী প্রবেশ ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউতে গেলো ৩০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর অভিবাসীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।
কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুট অর্থাৎ তিউনিসিয়া ও লিবিয়া হয়ে বিপদ সংকুল ভূমধ্যসাগর সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিসহ ইইউর দেশগুলোতে অনিমিতভাবে প্রবেশকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অনুপ্রবেশকারীদের ৪১ শতাংশই এ পথে প্রবেশ করেছেন। তাছাড়া অভিবাসী প্রবেশ বিগত ২০২২ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম ভূমধ্যসাগর রুটেও অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
এক্ষেত্রে ২০২২ সালের বিভিন্ন হিসাবে দেখা যায়, বিপদসংকুল এই কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরের পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টার হিসাবে বাংলাদেশিদের নাগরিকদের অবস্থান তৃতীয়।
সামগ্রিক হিসাবে স্থলপথে অর্থাৎ পশ্চিম বলকান অঞ্চল দিয়ে আগের বছরের তুলনায় কম আগমন ঘটলেও ২০২৩ সালে এ রুটে ৯৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীর আগমন ঘটেছে।
ইউরোপীয় বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সির (ফ্রন্টেক্স) স্থলপথে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের যে হিসাব প্রকাশ করেছে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছুটা মতানৈক্য প্রকাশ করেন। সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু স্থলপথে একজন অভিবাসী বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে হয়ত বারবার গণনা করা হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগত অভিবাসীদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ সিরিয়া, গিনি ও আফগানিস্তান নাগরিক। আর সিরিয়ার নাগরিক রয়েছে এক লাখেরও বেশি। এছাড়া পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে প্রায় ৪৭ শতাংশ অভিবাসী এসেছেন।
এদিকে ইতালিয়ান সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার অবৈধ অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছেন। আগের বছরের তুলনায় দেশটিতে অনুপ্রবেশ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।