৫ পানীয় পান করলে কাছে ঘেঁষতে পারবেন কিডনির অসুখ
আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল কিডনি। এই অঙ্গটি মূত্র থেকে শুরু করে হরমোন উৎপাদন, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায়। তাই সুস্থ-সবল জীবন অতিবাহিত করতে চাইলে আপনাকে বৃক্কের হাল ফেরাতেই হবে। নইলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থেকে শুরু করে নানাবিধ জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।
তবে ভালো খবর হল, কিডনির হাল ফেরানোর কাজে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কিছু পরিচিত পানীয়। তাই আর সময় নষ্ট না করে এমন কিছু ড্রিংকস সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
১. পানির জুড়ি মেলা ভার
আমাদের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি। আর এই পানীয় দেহের একাধিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার পাশাপাশি কিডনি থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলিকে বাইরে বের করে দেয়ার কাজেও সিদ্ধহস্ত। এমনকী এই অঙ্গকে ঠিকমতো কাজ করতেও সাহায্য করে পানি। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে হলে দিনে কমপক্ষে ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
তবে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্তরা আবার বেশি পানি খাবেন না। তাতে সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বই কমবে না।
২. লো ফ্যাট মিল্ক মহৌষধি
দুধ একটি সুষম পানীয়। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজ। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু ব্লাড প্রেশারকে বশে রাখার সিদ্ধহস্ত। আর হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে থাকলে যে অনায়াসে কিডনি ডিজিজ এড়িয়ে যেতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য।
তবে ভুলেও ফ্যাট যুক্ত দুধ খাবেন না। বরং চেষ্টা করুন লো ফ্যাট মিল্কের গ্লাসে চুমুক দেয়ার। এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
৩. সেরার সেরা কফি
গবেষকদের কথায়, অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয় হল কফি। এতে রয়েছে এমন কিছু উদ্ভিজ্জ উপাদান যা কিনা বৃক্কের প্রদাহ প্রশমিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী নিয়মিত এই পানীয় খেলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও কমে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ২ কাপ কফি খাওয়ার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখার চেষ্টা করুন। এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
৪. গ্রিন টি-এর বিকল্প নেই
সারা পৃথিবীর তাবড় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা গ্রিন টি-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের কথায়, এই পানীয়তে রয়েছে ক্যাটেচিনস নামক একটি উপাদান যা কিনা এই অঙ্গের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই বিশেষ উপাদানের গুণে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যার থেকেও বেশ কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। তাই এই অঙ্গের হাল ফেরাতে চাইলে নিয়মিত গ্রিন টি-এর কাপে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন!
৫. সমস্যা মেটাবে ক্র্যানবেরি জুস
ক্র্যানবেরি জুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েডসের সন্ধান মেলে যা কিনা ইউটিআই প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এমনকী এই পানীয়ের গুণে বাড়ে কিডনির কার্যক্ষমতাও। তাই সময় সুযোগ পেলেই এই ফলের জুস কিনে গলায় ঢালুন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।