রাতে দেরিতে খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
আমাদের মধ্যে অনেকেই রাত ১১টা-১২টা না বাজলে ডিনার করেন না। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের শরীরে একাধিক জটিল অসুখ দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা সকলকেই রাত ৯ থেকে ১০টার মধ্যে খাবার খেয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, একটু রাত করে খেলে ঠিক কোন কোন শারীরিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে? সেই উত্তর জানতে চাইলে ঝটপট এই প্রতিবেদনে চোখ রাখুন।
১. বারোটা বাজবে ঘুমের
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বেশি রাতে খাবার খেলে রাতে ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী এই ভুলের সুবাদে রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাই শান্তির নিদ্রা চাইলে রাত ৯টার মধ্যেই ডিনার সেরে নিন। তারপর একটু হাঁটাহাঁটি করে ১১টার মধ্যে শুতে চলে যান। এই কাজটা করলেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই চোখে জড় হবে ঘুমপরীরা। আপনাকে আর অনিদ্রার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না।
২. ফাঁদ পাতবে হমজের সমস্যা
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত হজমজনিত সমস্যার ফাঁদে পড়ে বেজায় কষ্ট পান। আর সেই কারণেই তারা প্রায়দিন অ্যান্টাসিড সেবন করেন। তবে খারাপ খবর হল, এই ধরনের সমস্যা থাকলে বেশি রাত করে খাওয়ার ভুলটা করবেন না। কারণ বেশি রাতে খাবার খেলে তা ঠিকমতো হজম হতে চায় না। যার ফলে পরের দিন গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।
৩. ঊর্ধ্বমুখী হবে ওজন
রাতেরবেলায় আমাদের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। তাই বেশি রাত করে খেলে যে খাবারে মজুত ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব হবে না, তা তো বলাই বাহুল্য। আর সেই সুবাদেই অতিরিক্ত ক্যালোরি ফ্যাট হিসাবে শরীরে জমবে। তাই ওজনের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে রাত ৯টার মধ্যে খেয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ হেঁটে নিয়ে রাত ১২টার মধ্যে শুতে যান। এই কাজটা করলেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
৪. বাড়বে ব্লাড প্রেশার
গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে খাবার খেয়ে শুতে চলে গেলে ডায়াবিটিস এবং ব্লাড প্রেশারের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এই দুই অসুখ যে শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা জানেন নিশ্চয়ই। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে যেন তেন প্রকারেণ রাতেরবেলায় খাবার খাওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে হবে। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
৫. মনের হাল হবে বেহাল
বেশি রাতে খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে পরেরদিন সকালটা খারাপভাবে শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী এই ভুলের সুবাদে উৎকণ্ঠা এবং অবসাদের মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ারও আশঙ্কা বাড়ে। তাই মনের খেয়াল রাখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নিতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।