একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য না থাকলেও জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বইমেলায় রয়েছে। সেখানে একটা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট এবং সিকিউরিটি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু গভীর রাত এবং ঢাকা শহরের মানুষ এদিকে আসবেন সেজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোনো কোনো জায়গা দিয়ে গাড়ি এদিকে ঢুকতে পারবে সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার রাস্তাটা রাখা হয়েছে এবং বাহির হওয়ার রাস্তাটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সমগ্র এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা আচ্ছাদিত থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
এএম/