গোলাগুলির জেরে টেকনাফের জেটিতে চলাচল বন্ধ
নিরপাত্তার কারনে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি। সকাল থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ এর বেশি বোমার শব্দ এলাকার মানুষ শুনতে পেয়েছে। এতে এপারে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার পর থেকে মায়ানমারের ওই অংশ থেকে প্রচণ্ড বোমার শব্দ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের খুব কাছ থেকেই শোনা যায়। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.মহিউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজিবি জানায়, আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের অনেক ভেতরে। নতুন করে সীমান্ত দিয়ে কেউ যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তাঁরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।
মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে এখন পর্যন্ত ১৬৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরী কাজ ছাড়া ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মায়ানমারের আরাকান আর্মিদের ঠেকাতে বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু শহরের হাদিবি, নলবনিয়াসহ ১০টির বেশি গ্রাম। টেকনাফ সংলগ্ন মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অসংখ্য বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বার ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মায়ানমার সীমান্তে এখনও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি। সকাল থেকে প্রচণ্ড বোমার শব্দ শোনা যায়। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে কাদিরবিল, নলবনিয়া, নয়াপাড়া, নুরুল্লা পাড়া, বাঘগুনা, পংদা ও পাতনজা এলাকায় যুদ্ধ চলছে। তাই সেসব গ্রামের বসবাসকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
কোস্টগার্ড চট্রগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, অনুপ্রবেশ রোধে নাফ নদীতে তাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। আমরা জানুয়ারি ২৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই শতাধিকের বেশি রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এ দফায় একজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দিবে না বলে জানিয়েছে সরকার।