বাবা-মায়ের ঝগড়া, মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা বাবার
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেয়েকে জবাই করে হত্যার পর বাবা নিজেরে পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বাবাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি (১৪) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর কানিপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বুলু মন্ডল দীর্ঘদিন আগে জীবিকার সন্ধানে তার শ্বশুর চাঁন মিয়ার বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় আসেন। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সুমি আক্তারের সঙ্গে বুলুর ঝগড়া লেগেই থাকত। ওই পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। এ সময় ইয়াসমিন মা-বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা বুলু মন্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ইয়াসমিনের গলায় কোপ দেয়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে থাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিভিন্ন সূত্র জানা যায়, মেয়ে ইয়াসমিনকে হত্যার পর বাবা বুলু মন্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি লাশ উদ্ধার করে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, মা-বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করায় বাবা মেয়েকে জবাই করে হত্যা করে নিজেই নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নিহতের লাশ উদ্দার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।