শাযরেহের তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ ৫ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
গুলশান থানায় করা তিনটি মামলায় মা, বোন ও ভাগনেসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগ করেছেন শাযরেহ হক। সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ পাঁচজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গেলো বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচজন কর্মকর্তাকে তাদের বাসা, অফিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক শাযরেহ হকের করা প্রতারণা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভুইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক এবং সহকম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।
পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের এক মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেন।সেই মামলায় গ্রুপটির পাঁচজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, এ সংক্রান্ত একটি মামলা গুলশান থানায় দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। পুলিশ জানায়, ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ এনে শাযরেহ হক এই মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ট্রান্সকম গ্রুপ। গ্রুপটির অধীনে পরিচালিত কম্পানিগুলোর মধ্যে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্রান্সকম বেভারেজেস, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রান্সকম কনজিউমার প্রোডাক্টস, ট্রান্সকম ফুডস, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস, ট্রান্সক্রাফট, মিডিয়াস্টার অন্যতম।
এএম/