আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

যাত্রী বেশে বাসে চড়ে ডাকাতি করতো চক্রটি : র‌্যাব

ডাকাতির জন্য ডাকাত দলের একটি দল যাত্রী বেশে বাসে উঠতো। তারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে নিতো আগেই। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন দূরপাল্লার আন্তঃজেলা বাসকে টার্গেট করতো তারা। এছাড়া যেসব দূরপাল্লার বাস কাউন্টার ছাড়া যাত্রী উঠায় তারা এসব বাসকে প্রাধান্য দিয়ে ডাকাতি করত। সাধারণত তারা মহাসড়কের নির্জন এলাকাকে বাস ডাকাতির জন্য বেছে নেয়। ওই স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতি করতো চক্রটি। এরকম একটি ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (১১ জুন) রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার (১২ জুন) র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ সব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে- তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। এই দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। গ্রেপ্তার ডাকাত সর্দার হীরা ও তার অন্যতম সহযোগী হাসান মোল্লা বিভিন্ন ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকে। ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলামুখী যাত্রীবাহী বাসে উঠে ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা ১০-১৫টি বাসে ডাকাতি করেছে।

র‌্যাব জানায়, ডাকাত সর্দার হীরার নেতৃত্বে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গত এক মাসে চট্টগ্রাম থেকে যশোরের বেনাপোলগামী হানিফ পরিবহন, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস এবং কাশিয়ানীতে ঢাকা থেকে কোটালীপাড়াগামী স্টার লাইন পরিবহনে ডাকাতি করেছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আগেও চক্রটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শ্যামলী পরিবহন ও মামুন ট্রাভেলস, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও একতা ট্রাভেলসে ডাকাতি করেছে।

ডাকাত সর্দার মো. হীরা শেখ ওরফে কালাম শেখ ওরফে সোলেমান শেখের অন্য সহযোগীরা হচ্ছেন— মো. হাসান মোল্লা ওরফে ইশারত মোল্লা (৩৯), আরিফ প্রামানিক ওরফে আরিফ হোসেন (৩৩), মো. নুর ইসলাম (৫৩), মো. রাজু শেখ, মো. রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬), মো. শরিফুল ইসলাম (৩৯), মো. হানিফ (৪২), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৮টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের টিকিট, ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন