টুকিটাকি

গর্ভনিরোধক বড়ি যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পরিকল্পনা ছাড়া সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক মহিলাই ভরসা রাখেন বিভিন্ন সংস্থার গর্ভনিরোধক বড়ির উপরে। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে এই ধরনের ওষুধ খান। কোনও ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই নিজের হয়। অত্যধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়ার আগে জেনে নিন, এর ফলে কী কী ক্ষতি হয় শরীরের।

১. মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত : দীর্ঘ দিন ধরে গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অত্যধিক পরিমাণে গর্ভনিরোধক বড়ি না খাওয়াই শ্রেয়। এই ওষুধ খাওয়ার পর শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় অবসাদ।

২. স্পটিংয়ের সমস্যা : ঘন ঘন গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে স্পটিংয়ের সমস্যা শুরু হতে পারে। ঋতুস্রাব শুরুর কয়েক দিন আগেই অল্প রক্তপাত হওয়াকে 'স্পটিং' বলা হয়। সেটা বেশ অস্বস্তির। ঋতুস্রাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে মাসের অন্য সময়েও কিন্তু হতে পারে এমন। তাই গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানা জরুরি।

৩. ওষুধের সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার : গর্ভনিরোধক ওষুধের সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। অনিচ্ছাকৃত সন্তানধারণ আটকানোর এই ওষুধ নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে যাদের চেহারা ভারী, তাদের চেহারা আরও ভারী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

৪ হরমোনের ভারসাম্য : গর্ভনিরোধক ওষুধ হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দেয়। এই হরমোন ক্ষরণের সমতা বজায় না থাকার কারণে তার প্রভাব পড়ে চোখের উপর। চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ থেকে জল পড়ার মতো সমস্যাগুলি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

 

৫. রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া : উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথচ গর্ভনিরোধক বড়ি খাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, এমনকি, স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন