অপরাধ

শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের  অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের পর শিক্ষক মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে এ শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে  আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্কুলের পাশে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের পড়ানোর নামে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর স্থানে হাত দেওয়াসহ নানা অশোভন আচরণের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করেছেন শিক্ষক মুরাদ। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে। ৪৮ বছর বয়সী শিক্ষক মুরাদ একাধিক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছে। তাদেরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনও করেছেন। একাধিক ছাত্রীর বেশকিছু অডিও রেকর্ডিং ও কথোপকথনে এর প্রমাণ মিলেছে।

ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক শিক্ষার্থীর মা লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত, তখন সে ওই শিক্ষকের কোচিংয়ে পড়তে যেত। মেয়েটিকে গত বছরের ১০ মার্চসহ বিভিন্ন সময় নানাভাবে যৌন নিপীড়ন করেছেন শিক্ষক মুরাদ।

তিনি বলেন, এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে কিছু অভিভাবক ও তাঁদের সন্তানদের বক্তব্য শোনেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ ঘটনায় স্কুলে মানববন্ধনও হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলা হওয়ার পর ওই রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযোগে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে  তদন্তে তাদের দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে; এটি পুলিশের তদন্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এটি একটি অ্যাকাডেমিক বিষয়। তদন্তের বিষয়গুলো দেখার জন্য প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি রয়েছে। দায়িত্বশীল জায়গাগুলো তারা দেখবেন। তবে ফৌজদারি বিষয়গুলো পুলিশের অংশ।

প্রসঙ্গত, শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণের জন্য মেডিকেল প্রতিবেদন জরুরি নয়। অভিযোগ প্রমাণের জন্য আরও অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন