আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গ্রামীন সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল দশা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে গ্রামীন-কাঁচা সড়কগুলো বেহালদশায় চলাচলে এলাকাবাসীর চরম জনদূর্ভোগ দেখা গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীন কাঁচা সড়ক গুলোর অবস্থা করুণ পরিণত হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে যেন ভোগান্তির শেষ নেই। ঐসব সড়কে হাঁটু কাঁদা হওয়ায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হন না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কগুলোতে কাঁদায় পরিণত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কিছু সড়ক টানা বৃষ্টিতে ধসে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হওয়ায় অটোবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের করুষাফেরুষা ফকিরপাড়ার সড়কটি টানা বৃষ্টিতে ধসে যাওয়ায় জনদূর্ভোগ পড়েছে এলাকাবাসী।

এ ছাড়াও ঐ ইউনিয়নের খলিকোঠাল থেকে বালারহাট যাওয়ার এক মাত্র সড়কটি হাঁটু কাঁদা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অন্য দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের খেজুরের তল থেকে শল্লীধরা হয়ে নওদাবাশ যাওয়ার রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরেও সেখানকার শতশত মানুষ জরুরী কাজে ভোগান্তি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারাইটারী এলাকা থেকে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মিয়াপাড়া যাওয়ার প্রায় চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি দিয়ে চলাচল চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

কুরুষাফেরুষা এলাকার শৈলান চন্দ্র রায় ও আব্দুস সাত্তার জানান, কুরুষাফেরুষা ফকিপাড়া এলাকার সড়কটি গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে তাদের এলাকার সড়কটি ধর্সে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিনিত হওয়ায় জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। তাই ঐ ধসে যাওয়ার সড়কটি দ্রæত মেরামত করার দাবী জানিয়েছেন।  

খলিশাকোঠাল এলাকার কাজম আলী ও বাদশা মিয়া বলেন, খশিকোঠাল এলাকা থেকে বালারহাট যাওয়ার প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি চলাচলের বেহালদশা হওয়ায় তারা ঐ সড়কটি দ্রুত পাকা করার জন্য জানিয়েছেন।

উত্তর বড়ভিটা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নয়ন জানান, তার এলাকার দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি টানা বৃষ্টিতে হাঁটু কাঁদায় পরিনিত হয়ে যাওয়ায় চলাচলের চরম ভোগান্তি । তাই তিনি সড়কটি দ্রæত পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবী জানান।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাসেন আলী জানান, গ্রামীন রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। তারপরেও চরম দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এ সব রাস্তার মেরামতসহ পাকা করণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, ইতোমধ্যে ৬ ইউনিয়নের ভাঙ্গাচুরা ও চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি পর্যায় ক্রমে গ্রামীন সড়কগুলো মেরামতসহ পাকা করণের কাজ করা হবে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন