আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পেটের ছবি দিচ্ছি, কারও কুমন্তব্যে কিছু যায় আসে না : পরীমণি

ঢাকাইয়া সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। সিনেমা, ব্যক্তিজীবন সব নিয়েই আলোচনায় থাকেন তিনি। সম্প্রতি আনন্দ বাজার পত্রিকায় নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পরী। এর অংশ বিশেষ পাঠকের আগ্রহে তুলে ধরা হলো।

পরীমণি মা হচ্ছেন এটি নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে মাতৃত্বের ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুটি কুড়িয়েছেন পরী। এর জবাবে তিনি বলেন- স্বেচ্ছায় মাতৃত্বের উদ্‌যাপনে মেতেছি, স্ফীত পেটের ছবি দিচ্ছি, কারও কুমন্তব্যে কিছু যায় আসে না।

নেটমাধ্যমে স্ফীত গর্ভের ছবি দিচ্ছেন। চারপাশে কী প্রতিক্রিয়া? এর জবাবে পরী বলেন, এতো প্রতিক্রিয়া দেখে বা জেনে কী হবে বলুন? নিজের ইচ্ছেয় মাতৃত্ব উদ্‌যাপনের ছবি দিই। মানুষ দেখেন। যাদের ভাল লাগে তো লাগে। যাদের ভালোলাগে না, তাদের নিয়ে আমার কোনও ভাবনা নেই। কিছু যায়ও আসে না। খারাপ মানুষ, খারাপ মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের বেঁচে থাকার আনন্দ নষ্ট করতে রাজি ন‌ই।

পরী বলেন, মা হওয়ার অপেক্ষায় দারুণ! অন্তঃসত্ত্বা হ‌ওয়ার খবর জানার পর প্রত্যেকটা দিন‌ই আমার কাছে স্মরণীয়। একটা জন্ম আসছে। আমিও যেন একটা নতুন জন্ম পেয়েছি।

তিনি বলেন ছোটবেলায় রাজের সঙ্গে দেখা হলে আরও বেশি করে পেতাম মানুষটাকে। ভালোবাসার জন্য এই এক জীবন কখন‌ও কখনও যথেষ্ট মনে হয় না। মন আরও চায়।

মা হতে চলেছেন, কেমন অনুভূতি হয়েছিল? এর জাবাবে তিনি বলেন, সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল আমার দুটো ডানা গজিয়েছে। আমি সত্যি সত্যি পরি হয়ে গেছি। আমি উড়ে যাচ্ছি সাদা মেঘের পালের সঙ্গে। পৃথিবীটাকে এক টুকরো স্বর্গ মনে হচ্ছিল তখন!

মাতৃত্বজনিত কারণে অভিনয় থেকে বিরতি না নিয়ে পরী ছবিগুলোতে অভিনয় করে যাচ্ছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, যতই বলি ছুটি নিলাম এই সময়টুকুর জন্য, ছুটি তো হল না। ‘মা’ ছবির কাজ পুরোটাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। ‘কাগজের বউ’ও শেষ করলাম সে ভাবেই। তার পরে শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়া ছবিগুলো ডাবিং করলাম পরপর। তবে গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে আর কোনও ঝুঁকি নেব না আমি। আর কোনও কাজ করা সম্ভব নয়।

আপনার জীবনসঙ্গী সব সময়ে আপনার সব ইচ্ছের শরিক। রাজের এই ভূমিকা নিয়ে কী বলবেন? এর জবাবে পরী বলেন- রাজ আমার জীবনে দেবদূতের মতো। আমার মুখ দেখেই সে বুঝে যায় অনেক কিছু। আমাকে বলতে হয় না। আমার অবাক লাগে মাঝে মাঝে। এটা সে পারে, কারণ রাজ নারীকে সম্মান করে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন