আন্তর্জাতিক

মসজিদুল হারাম ও নববীতে তারাবি-তাহাজ্জুদ যে ৮ ইমাম পড়াবেন

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে রমজানে তারাবি, বিতর ও তাহাজ্জুদ পড়াবেন ৪ ইমাম। একই সঙ্গে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীতে রমজানে ইমামতি করবেন ৪ ইমাম। পবিত্র রমজানে ওমরা পালনের পাশাপাশি মসজিদুল হারামে ও নববীতে লাখ লাখ মানুষ ইতেকাফ করেন। তারা পুরো রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান। রমজান মাসে তারাবির পাশাপাশি রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ রমজান মাসের অন্যতম আমল। এ কারণে হারামাইন কর্তৃপক্ষ আগে-ভাগেই জানিয়ে দেন কারা থাকছেন ইমামতির দায়িত্বে।

পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তারাবির ইমামদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের শিডিউল মেনে পুরো রমজানে নামাজ পড়াবেন এই ইমামেরা।

মসজিদে হারামে খতম তারাবি ও তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নির্ধারিত ৪ ইমাম হলেন- শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইস, শায়খ আবদুল্লাহ জুহানি, শায়খ মাহের মুআইকিলি এবং শায়খ বান্দার বালিলা।

এদিকে মসজিদে নববীতে খতম তারাবি ও তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নির্ধারিত ৪ ইমাম হলেন- শায়খ আব্দুল্লাহ বুআইজান, শায়খ সালাহ আল-বুদাইর, আহমাদ বিন তালেব হুমাইদ, শায়খ আব্দুল মুহসিন কাসিম।

সৌদি আরবের ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা রোজাদারদের এবং অন্যদের জন্য ইফতার প্রকল্পের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করবেন না। নোটিশে মসজিদের অভ্যন্তরে ইফতারের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আপোস করার বিষয়গুলি উত্থাপন করে, ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের আঙ্গিনায় এই আয়োজনের তদারকি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ইফতার সমাপ্তির পরপরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে মসজিদের ভিতরে ইফতারের আয়োজন করা উচিত নয়, তাই অস্থায়ী কক্ষ বা তাঁবুর ব্যবহার না করে মসজিদের আঙ্গিনায় একটি উপযুক্ত জায়গা তৈরি করা উচিত এবং সেখানে ইফতার করা উচিত।

রমজানে মসজিদুল হারাম ও নববীতে ইবাদতকারীদের আগমনকে ঘিরে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। মক্কা মেয়রের মুখপাত্র উসামা জাইতুনি জানিয়েছেন, রমজানে মুসল্লিদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ভেতরে ও আশপাশের স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, জরুরি বর্জ্য অপসারণসহ নানা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মক্কা নগর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম গঠন করা হয়েছে।

জাইতুনি জানান, মক্কায় ১৮ হাজার প্রধান ও ছোট সড়ক, ৫৮টি টানেল ও ৭০টি সেতু রয়েছে। এসব রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা সব সময় পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার রাখতে হয়। পাশাপাশি মক্কার দোকান ও রেস্তোরাঁর সব কিছুর বৈধতা নিশ্চিত করতে হয়। পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ায় এসব স্থানের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পায়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হবে।

এবার রমজানে মসজিদের ভেতর ইফতার না করে বাহিরে কোনো খোলা জায়গা প্রাঙ্গনে ইফতারের নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন