আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সিলেটে ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি

সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত ১৫ মে থেকে টানা ৮-১০ দিনের প্লাবনের রেশ কাটার আগে এবারের বন্যায় সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা।

সুরমা-কুশিয়ারাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। একই সাথে নগরীতে পানিবৃদ্ধিতে এলাকার সিংহভাগ মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। খাবার পানীর সংকটের মধ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে উপশহরসহ আশপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ওয়াদুদ জানান, পুরো ৬০টির বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, পুরো জেলায় ১০ লাখে অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সদর উপজেলার কিছু এলাকায় বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতায় নামছে। অন্যান্য উপজেলায় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাবে।

তিনি বলেন, উপদ্রুত এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদী সিলেট (নগরী) পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক শূণ্য ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার পানি বাড়ায় নগরীর বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন