লাইফস্টাইল

কৃত্রিম পানীয়ের চেয়ে ঢের ভালো আখের রস

বাস থেকে নেমেই এক গ্লাস আখের রস খেয়ে অফিসে ঢোকেন। ভাত খাওয়ার পর ফল খাওয়া ভাল। ছুটির দিন ছাড়া নানা ধরনের ফল সাজিয়ে খাওয়ার সময় হয় না। তাই ফলের রসই ভরসা। তবে অন্যান্য ফলের মধ্যে থেকে আলাদা করে আখ বেছে নেয়ার কারণ তার পুষ্টিগুণ। আবার, গরমকালে পিপাসা মেটাতে শুধু পানি বা কৃত্রিম চিনি দেয়া পানীয়ের চেয়ে ঢের ভাল আখের রস।

কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করে আখের রস খাওয়া কি ভাল? সকলেই কি তা খেতে পারেন?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিভিন্ন রকম খনিজ এবং গ্লুকোজে সমৃদ্ধ আখের রস তৎক্ষণাৎ শরীরে বল আনতে দারুণ কাজ করে। শুধু পিপাসা মেটানোই নয়, ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই রস। ফলে ডিহাইড্রেটেড হওয়ার ভয় থাকে না। আখের মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ।

আখের-রস

এই প্রাকৃতিক শর্করা শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল। পাশাপাশি আখের রসে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তা অন্য কোনও ফলের রসে নেই। প্রচণ্ড কায়িক পরিশ্রম করলে বা খুব ক্লান্ত লাগলে কৃত্রিম ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এর পরিবর্তে এক গ্লাস আখের রস খাওয়াই যায়।

তবে, স্বাস্থ্যকর এই রস কিন্তু রোজ খাওয়া যায় না। কারণ, কতটা আখের রস প্রয়োজন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির বয়স এবং কায়িক শ্রমের পরিমাণ এবং শারীরিক পরিস্থিতির উপর। যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বার বার ওঠা-নামা করে, তাদের জন্য আখের রস ভাল নয়। হার্ট কিংবা স্থূলত্বের কোনও সমস্যা থাকলে আখের রস না খাওয়াই ভাল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন