আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট ও নেত্রকোণা পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে এই বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার মানসিকতা থাকতে হবে। সে কারণে আমাদের অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন হবে সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে।

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে মাটি উঁচু করে আর কোনো রাস্তা করা হবে না, ‘এলিভেটেড’ রাস্তা হবে। এলিভেটেড রাস্তা হলে সেটা সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মত দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য লাগে, ওষুধ লাগে সব দেয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।

এর আগে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে সিলেট ও নেত্রকোণা এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২১ জুন) হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় হেলিকপ্টার থেকে নেত্রকোণা ও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

সোমবার (২০ জুন) রাতে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই সময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে রওনা দেবেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেত্রকোণা ও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সকাল ১০টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করবে। সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন