ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীর শিল্পকলা একাডেমি এলাকার দারুল আজহার মডেল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াছ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের হাজী মুরশিদুর রহমানের ছেলে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।
গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ বিকেলে মাদরাসার ওই শিক্ষকের রুমে বলাৎকারের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভিকটিম দারুল আজহার মডেল মাদরাসার ছাত্র ছিল। মাদরাসার হুজুর মাওলানা আবদুর জলিলের ইউনিটে থেকে পড়ালেখা করছিল ভিকটিম। গত এক মাস পূর্ব থেকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে বিভিন্ন অজুহাতে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক বলাৎকার করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মারধরের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বিকেলে পুনরায় শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এতে শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মুঠোফোনে তার মাকে অবহিত করে। পরে ভিকটিমের মা মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাটির বিচার চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি কোনো বিচার না করে উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে মাদরাসা ছেড়ে যেতে সহযোগিতা করে। মুচলেকায় ওই শিক্ষক ভিকটিমসহ আরও একাধিক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।