আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

খারকিভে রাশিয়ার হামলা, শিশুসহ নিহত ১৫

ইউক্রেনে বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনে খারকিভ অঞ্চলটিতে সামরিক বাহিনীর হামলায় আট বছর বয়সী এক শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। জানিয়েছেন খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে তারা প্রাণ হারান।

বুধবার (২২ জুন) বার্তাসংস্থা এএফপিতে দেয়া এক প্রদিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। 

টেলিগ্রামে দেয়া এক বার্তায় মঙ্গলবার খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। খারকিভ অঞ্চলে দিনের বেলা রুশ সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণের ভয়ানক পরিণতিতে হতাহত হয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সেনাদের হামলার পৃথক চারটি ঘটনায় খারকিভের এসব মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।

সিনেগুবভ বলেন, রুশ বাহিনী খারকিভ শহরের ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত চুগুইভ শহরে হামলা চালিয়েছে। এতে ছয়জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। এছাড়া খারকিভ শহরে আরও পাঁচজন মারা গেছেন এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া রুশ হামলায় খারকিভের শহরতলীতে আট বছর বয়সী শিশুও নিহত হয়েছে। এসময় রুশ সেনাদের হামলায় ওই শিশুর মা নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান ওলেগ সিনেগুবভ।

অন্যদিকে খারকিভ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ছোট শহর জোলোচিভে রুশ হামলায় আরও তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। 
সিনেগুবভের ভাষায়, ‘এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং এই অপরাধের দায়ে দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।’

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে যুদ্ধের আগে জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। রাশিয়ার সীমান্ত থেকে শহরটি প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি রুশ সামরিক বাহিনীর হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু। তবে ব্যাপক বোমাবর্ষণের মাধ্যমে রুশ সেনারা শহরটি বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হলেও দখলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

অবশ্য হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাশিয়ান সীমান্তের ঠিক পাশেই অবস্থিত খারকিভ শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পাঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র। এখানে বসবাস করা প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মধ্যে অনেক রুশভাষীও আছেন।

উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন