নাজমুলের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর নাজমুল ইসলামের (২৫) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইডি। গেলো ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এর মধ্যে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ হস্তান্তরের পর আজ নাজমুল ইসলামের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় নাজমুল ইসলামের বাবা নজরুল ইসলামের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ গণমাধ্যমে বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এর মধ্যে গতকাল (সোমবার) আমরা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। আজ (মঙ্গলবার) নাজমুল ইসলামের মরদেহ আমরা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
তিনি বলেন, গত ১ মার্চ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার পরিবারের সাথে তার ডিএনএর নমুনা মিলে যাওয়ায় আজ তার বাবা নজরুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি। ধর্মীয় রীতি মেনে নাজমুলের মরদেহ দাফন করার জন্য তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নাজমুলকে তখন আমরা খুঁজে পাইনি। আমার ছেলের শরীর এমনভাবে পুড়েছে যে, তাকে চেনা যাচ্ছিল না। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ করা হয় এবং আমাদের থেকে তার পরিচয় শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১১ দিন পর আমাদের সাথে নাজমুলের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের আগুনে এতোগুলো প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, এই দায় কে নেবে? নাজমুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আমার চার ছেলের মধ্যে নাজমুল ছিল দ্বিতীয়। আমাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার নলবুনিয়া কান্দি। সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এএম/