স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে শেষ কথা ‘হয়তো আর যোগাযোগ হবে না’
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশের একটি জাহাজটিতে রয়েছেন সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলাম। সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ঘিরে ফেলার পর স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা বলেন তিনি। সে সময় তৌফিকুল বলেন, ‘হয়তো আর যোগাযোগ হবে না’।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার পরে তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় বলে জানান মা বিল আফরোজ ও স্ত্রী জোবায়দা নোমান।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবায়দা নোমান গণমাধ্যমে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে কথা হয়েছিল। তিনি ফোনে বলেছেন—‘দোয়া করো। আমাদের তো সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। কী হবে কিছুই তো জানি না।’এটাই শেষ কথা। এরপরে আর কথা হয়নি।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে ইফতেখার ফোন করে পরিবার থেকে লোক পাঠাতে বলেছিলেন। আমার মেজ ভাসুর এবং আমার ভাই দুজন চট্টগ্রাম গিয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও ও আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। তার সহকর্মীরা আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসুক।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বললো— ‘আম্মা আমি ভালো আছি, চিন্তা করো না।’ আমি বললাম, চিন্তাতো লাগেই, কী করবো তোমরা বন্দি অবস্থায় আছো। টেনশন তো হয়ই। তুমি দোয়াটা পইড়ো, আল্লাহ দোয়া কবুল করবে। এই বলতে বলতেই আর কথা নেই। মনে হলো যে, তার মোবাইল কেড়ে নিলো। শেষ কথা আমার সঙ্গে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।
এএম/