এম ভি আব্দুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থা জানালো ইইউ’র যুদ্ধ জাহাজ
বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছে, শুরু থেকে এটিকে অনুসরণ করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যুদ্ধ জাহাজ। অপরাশেন আটলান্টার আওতায় এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে এ যুদ্ধ জাহাজটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ইইউ নেভাল ফোর্স অপারেশন আটলান্টার ওয়েব সাইটে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাহাজের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যিক জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহকে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রেখেছে ইইউ এর একটি যুদ্ধ জাহাজ। এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে ১২ জন সশস্ত্র জলদস্যুর অবস্থান নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। শুরুর দিকে ছিনতাই হওয়া জাহাজটিতে ২০ জন জলদস্যু উঠলেও, বর্তমানে জাহাজে ১২ জন দস্যু সশস্ত্র অবস্থান করছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স (ইইউন্যাভফোর) জানায়, তাঁরা ধারনা করছেন কিছুদিন আগে যে দলস্যুরা এম ভি রুয়েন নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই করেছিলো, তারাই বাংলাদেশি জাহাজকে ছিনতাই করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা একটি ছবিও যুক্ত করেছে, নেভীর তোলা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছিনতাই হওয়া জাহাজ এম ভি আব্দুলাহর কাছকাছি একটি সামরিক হেলিকপ্টারও উড়ছে।
ইইউন্যাভফোর এর দাবি, তাঁরা ইতোমধ্যে জলদস্যুদের তিনটি আস্তানা বা ক্যাম্প সনাক্ত করেছেন। যেগুলো থেকে জাহাজে অবস্থানকারী জলদস্যুদের সহায়তা করা হয়েছে। এ ক্যাম্প তিনটি সোমালিয়া উপকূলের উত্তর, দক্ষিণ এবং মাঝখানে অবস্থিত বলেও জানায় সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা আরও জানায়, বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর থেকেই অপারেশন আটলান্টার মাধ্যমে পরিস্থিতি নজরদারি করছে ইইউন্যাভফোর। সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ইইউন্যাভফোর আরও জানায়, জিম্মি উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তাঁরা অপারেশন আটলান্টার আওতায় বাংলাদেশ, সোমালিয়ার কতৃপক্ষ এবং সমুদ্রে নিরাপত্ত সংশ্লিষ্ট তাদের সহাযোগী সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে সোমালিয়া, হর্ন অফ আফ্রিকা, এডেন উপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কতৃক জলদস্যুতা দমনে পরিচালিত সামরিক অভিযানকে অপারেশন আটলান্টা নামে আখ্যায়িত করা হয়।