রমজানের মর্যাদা যে কারণে অন্য মাস থেকে অনেক বেশি
আরবি মাস অর্থ্যাৎ চন্দ্র মাস বারটি। এরমেধ্য রমজান মাসের মর্যাদা অন্য মাস থেকে অনেক বেশি। তাই মুসলমানদের কাছে এ মাসের গুরুত্বও বেশি। তবে কেন এ মাসের মর্যাদা অন্য মাসের চেয়ে বেশি তা আল্লাহ পবিত্র কুরআনেই বলে দিয়েছেন।
সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন- রমজান মাস হলো সেই মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথের যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমজান মাসটি পাবে, সে এ মাসে রোজা রাখবে। যে ব্যক্তি অসুস্থ থাকলে কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। (সুরা-বাকারহ ১৮৫)
সুরা কদরে আল্লাহ বলেন, আমি তাকে (কোরআনকে) ‘লাইলাতুল কদর’ বা ভাগ্য রজনীতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা কদর, আয়াত নং ১)
তা হলে মহান আল্লাহর বাণীতেই রজমান মাসের গুরুত্ব বেশি কেন তা বলা হয়েছে। কারণ মানব জাতির জন্য গাইড লাইন, চলার পথের নির্দেশনাবলী বর্ণিত রয়েছে কুরআনে। এজন্যই রমজানের মর্যদা অন্য মাসের চেয়ে বেশি। এ মাস হলো সারা বছর কিভাবে মানুষ তার জীবন পরিচালিত করবে তা অনুশীলনের মাস। এ মাসে নিজেকে শুদ্ধ করে বাকি মাসগুলোতে তা মেনে চলবে। যেহেতু জীবন চলার গাইড লাইন এ মাসেই নাযিল হয়েছে, সেজন্য তা থেকে শিক্ষা নিতে এ মাসেই বেশি অনুশীলন করতে হবে।
রমজান মাসের ফজিলত বা গুরুত্ব নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে। এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমাদের সামনে রমযান মাস উপস্থিত, যা বরকত পূর্ণ মাস। আল্লাহ তোমাদের উপর রমজানের রোজাকে ফরয করেছেন।
রমজান মাসকে বলা হয় মুমিনের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। এ মাসে মুত্তাকির গুণ অর্জন করে বাকি সময় তা অনুসরণ করবে। রোজা পালনের মধ্য দিয়ে নিজেকে সংযমী হতে শিখাবে।
আল্লাহ বলেন- হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি হয়।(সুরা বাকারা আয়াত ১৮৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)
তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এ মাসে নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তুলতে বেশি বেশি অনুশীলন করা।