টুকিটাকি

৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী-পুরুষই পরকীয়ায় আসক্ত!

পরকীয়া নিয়ে আলোচনা এখনও সংস্কৃতি বহির্ভূত। বছর খানেক আগেও পরকীয়া শব্দটি নিষিদ্ধ ছিল সভ্য সমাজে। তবে যুগের হাওয়ায় সেই ছুঁৎমার্গের অনেকটাই বর্তমানে লুপ্ত। চিরকাল পরকীয়ার নিষিদ্ধ হাতছানিতে সাড়া দিয়ে এসেছেন মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, ভারতের ৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী-পুরুষই পরকীয়ায় আসক্ত।

একই সঙ্গীতে আসক্ত নারী-পুরুষের সংজ্ঞা এখন অতীত। দাম্পত্য কলহ কিংবা শারীরিক চাহিদা না মেটায় ভালো থাকার স্বাদ পেতে আজকাল অনেকেই পরকীয়ায় আসক্ত হচ্ছেন। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির প্রতি চিরাচরিত ধ্যানধারণাও বদলে গিয়েছে সিংহভাগ ভারতীয়দের। গ্লিডেন-এর সমীক্ষায় মিলেছে চমকে দেয়ার মতো কিছু তথ্য। ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি বিবাহিতরা আরও বেশি করে পরকীয়ার দিকে ঝুঁকছেন।

কেউ শান্তির খোঁজে। কেউ বা শারীরিক চাহিদা মেটাতে। যাদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাদের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অপ্রচলিত ডেটিং পদ্ধতিতে অভ্যস্ত। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ‘সুইং’ শব্দটি খুব একটা অচেনা নয়। সঙ্গীরা উভয়েই যে যার মতো করে সংসারের বাইরে গিয়ে পরকীয়া এমনকী যৌনচাহিদা মেটাতে ব্যস্ত। আধুনিক ভারতে কিন্তু আদর্শ সম্পর্ক কিংবা বিয়ের সংজ্ঞা অনেকটাই বদলে গেছে। গ্লিডেন-এর সমীক্ষা অবশ্য এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই দিচ্ছে।

সমীক্ষা বলছে, ৫২ শতাংশ কলকাতাবাসী প্ল্যাটোনিক সম্পর্কের মধ্যেই ইমোশনাল কানেকশন খুঁজছে। তাছাড়া, অনলাইন ফ্লার্ট তো রয়েইছে। গ্লিডেন-এর তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ শতাংশ মহিলা এবং ৩৫ শতাংশ পুরুষ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফ্লার্টিংয়ের দিকে আকৃষ্ট। কোচি, জয়পুর, লুধিয়ানার শহর রয়েছে এই সমীক্ষায়।

এছাড়া, নিজের সঙ্গীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে ফ্যান্টাসির জগতেও বিচরণ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে নারী-পুরুষ উভয়েই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন