আইন-বিচার

আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গেলো ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।’

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন