মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাটি গেড়ে বসেনি ভারত। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেতেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে। দেশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকলে যে দেশের উন্নয়ন হয়, তা প্রমাণ করেছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু রাষ্ট্রটি দেননি, বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, সেই পথরেখাও তিনি দেখিয়েছেন। আবার বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। যে জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই স্লোগানকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের এবং সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকার গঠনের পর আবারও হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসেছিল, তারাও এ দেশে একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালিয়েছিল। আমাদের সেনা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এরপরে নির্বাচনী প্রহসন, দল গঠন, দল ভাঙন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে সারা বিশ্বেই। তবুও আমাদের দেশের মানুষের যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এই রমজান মাসে আমরা বিনা পয়সায় খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে আহবান জানিয়েছি যে, ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে বণ্টন করতে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা বিশিষ্টজনেরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজসেবা বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এস. এম. আব্রাহাম লিংকন।
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।