দেশজুড়ে

মেঘনায় ট্রলারডুবি: উদ্ধার কাজ সমাপ্ত, নিহত ৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের শিশুপুত্র রাইসুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছেই ভেসে ওঠে শিশুটির মরদেহ। ভৈরব নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) ও বেলন দে’র (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে রাইসুলের (৫) মরদেহ  সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্রিজের পাশ থেকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ জনে।

পরিবারের লোকজন তিনজনকেই শনাক্ত করেছে। প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (২০), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও টুনটুন দে’র মেয়ে আরাধ্যর (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

একই ঘটনায় ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্না বেগম (৩২) নামের এক নারী ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মর্মান্তিক এই নৌ দুর্ঘটনায় তিন শিশু, চার নারী ও দুইজন পুরুষসহ ৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন