ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইরান, নিহত ৫
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে পাঁচজন মারা গেছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে ওই এলাকায়। যার সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।
শনিবার (২ জুলাই) আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩২ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। বন্দর খামিরের কাছে ওই ভূমিকম্পের গভীরতা ১০ কিলোমিটার। । দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানে রাত ৩টা ২৪ মিনিটে।
তবে এই দুই ভূমিকম্পের মধ্যবর্তী সময়ে কয়েকবার আফটার শক অনুভূত হয়। ২টা ৪৩ মিনিটে ৪.৬ মাত্রার এবং ৩টা ১৩ মিনিটে ৪.৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
হরমোজগান প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রধান মেহরদাদ হাসানজাদেহ বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহত আরও ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র এক প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, প্রথম ভূমিকম্পটির পরে ৬ দশমিক ৩ এবং ৬ দশমিক ১ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে দেশটিতে। এতে সায়েহ খোশ গ্রামটি পুরো তছনছ হয়ে গেছে।
ইরানি গণমাধ্যমে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ১ বলা হলেও ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাও (ইউএসজিএসসি) ভূমিকম্পটির মাত্রা ছয় বলে জানিয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ইরানের হরমোজগান প্রদেশের বন্দর এ খামির শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে।
এতে ইরানের পাশাপাশি প্রতিবেশী বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানও কেঁপে উঠেছিল বলে জানিয়েছে ইউএসজিএসসি।
কিছুদিন আগেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আঘাত হেনেছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প। এতে পাকিস্তানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও আফগানিস্তানে প্রাণ হারান এক হাজারের বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। সেখানে তিন হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহত হন আড়াই হাজারের বেশি লোক।
গেলো ২২ জুন ভোররাতে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকার সময় ভূমিকম্প আঘাত হানায় এবং পাহাড়ি অঞ্চলটির বেশিরভাগ ঘরবাড়ি মাটির হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিআর