গাজার দুটি হাসপাতাল ও এক স্কুলে ইসরাইলের হামলা, নিহত ৮
উত্তর গাজায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলা চাইলয়েছে দখলদার ইসরাইল। পরিষেবার ভেতরে এবং কাছাকাছি লোকদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পরে এ হামলা চালানো হয়। এছাড়া পাশের আল আওদা হাসপাতালেও হামলা করা হয়। ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা শহরের আরেকটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়ে ৮জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আল জাজিরা আরবির (এজেএ) সাংবাদিক রিপোর্ট করছেন যে ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আল-আওদা হাসপাতালে গুলি চালিয়েছে। নিকটবর্তী বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ক্রমাগত হামলার মধ্যেই এই হামলা হয়।
হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোকে আঘাত হানা হয় বলে এজেএ রিপোর্ট করেছে। হাসপাতালটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ ও গোলাগুলির মধ্যে’ রয়েছে।
আনাদুলোর রিপোর্ট অনুসারে মুসা বিন নুসাইর স্কুলে হামলায় আটজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সাইটটিকে মুসা বিন নুসাইর স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছে, তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত ও নিহত বেশ কয়েকজনকে টেনে এনেছেন।
অপরদিকে ইসরাইলের তেল আবিব-জাফা এলাকায় হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অভিযান চালিয়েছে। এতে অন্তত ১৪ জন হালকা আহন হয়।
পোপ ফ্রান্সিস তার ক্রিসমাসের ভাষণে গাজায় ইসরাইলের শিশু হত্যাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে বর্ণনা করেছেন। ‘যুদ্ধ নয়’- আহ্বান জানান তিনি।
গাজায় ইসরাইলের হামলাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে সমালোচনা করেন পোপ আরও বলেন, “ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ককে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।”
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবশ্য বলেছে, কার্ডিনাল পিয়েরবাতিস্তা পিজাবাল্লার প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তিনি রবিবার গাজায় প্রবেশ করবেন।
কার্ডিনাল পিজাবাল্লা শেষবার এই বছরের মে মাসে গাজা পরিদর্শন করেছিলেন, যাকে তিনি পবিত্র পরিবারের যাজকীয় সফর হিসেবে বর্ণনা করেন।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ, যারা গাজায় প্রবেশের সমস্ত পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করে, তারা সাংবাদিক এবং মানবাধিকার গবেষকসহ মানুষকে ভূখণ্ডটিতে প্রবেশ এবং ত্যাগ করতে দিতে অস্বীকার করেছে।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ সাত হাজার ৫৭৩ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় ইসরাইলের কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি করা হয়েছিল।
এসি//