পাঁচ’শ ছাড়িয়ে থামলো শ্রীলঙ্কা
সকাল থেকে কিছুটা মেঘের ঘনঘটা ছিল চট্টগ্রামের আবহাওয়ায়। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর মধ্যেই শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। প্রথম সেশনে কেবল একটি উইকেট সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির পরের ওভারে পতন ঘটে আরেকটি উইকেটের। শ্রীলঙ্কার রান কোথায় গিয়ে থামবে তাই নিয়ে ছিল আলোচনা। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা।
সাকিব আল হাসানের হাত ধরে প্রথম সেশনে উইকেট পায় বাংলাদেশ। তবে ৪১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যখন দুই দল, স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের উপর চাপ ছিল। বিরতি থেকে ফিরেই অবশ্য উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমেদ। দলীয় অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন ৭০ রানে।
সকালে যেমন কন্ডিশন ছিল, তাতে পেসারদের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের পেসাররা কন্ডিশনের ফায়দা তুলতে পারেনি। বিরতির পর খালেদের নেওয়া উইকেটে কিছুটা হালকা বোধ করলেও, সুযোগ হেলায় হারিয়েছে তারা আজকেও। স্লিপ থেকে ক্যাচ ফেলেছেন ৩ ফিল্ডার মিলে।
এসবের ফায়দা বাংলাদেশকে সবসময় দিতে হয়েছে। লঙ্কানরা যখন ৪৫০ ছাড়িয়ে ছুটছে, তখন সাকিবের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের শিকার হন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ৭৫ বল খেলে ২৮ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। তবে ক্রিজে থিতু হতে পটু কামিন্দু মেন্ডিসের বিপক্ষে যেন কোনো সূত্রই পায় না বাংলাদেশ। সেই প্রথম টেস্টের মতো কামিন্দু এবারও বড় রানের দিকে ছুটতে থাকেন।
জয়াসুরিয়া যখন ফেরেন দলের রান ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৭৬। এরপর কামিন্দু সঙ্গী করে বিশ্ব ফার্নান্দোকে। একসাথে আরও আরও কিছু রান যোগ করেন। শেষ সেশনে এসে ৫০০ ছুঁইছুঁই থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ১১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন ফার্নান্দো।
শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দোকে সাথে নিয়ে দলীয় ৫০০ ছাড়িয়ে গেলেন কামিন্দু। কামিন্দুর ব্যক্তিগত শতক পূরণ হয় না আসিথা রানআউটের শিকার হয়ে ফিরলে। কামিন্দু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।