অর্থনীতি

‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতা কাটাতে দরকার যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পেছনে বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতাকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রপ্তানি ভর্তুকি কমানো এবং মনিটারি পলিসি টাইট করা হয়েছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গেলো অক্টোবরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ রণজিৎ ঘোষ। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গেলো অক্টোবরে এটা ৫.৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক মার্জার করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার করা উচিত। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর ২০২৪-২৫ সালে তা ৬.১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থাও উন্নতি হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ১.২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন