সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঠেকাতে যা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ১৭৫ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ এক হাজার ৯২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সম্পদ বাজেয়াপ্ত এড়াতে স্থানীয় সময় সোমবার(১ এপ্রিল) তিনি এই অর্থ পরিশোধ করেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বন্ডের এই ১৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ক্যালোফোর্নিয়া-ভিত্তিক ‘নাইট স্পেশালিটি ইনস্যুরেন্স’ কোম্পানি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিশোধের পরই আপিলের অধিকার প্রমাণ করতে এবং এই অন্যায় রায়কে বাতিল করতে উন্মুখ বলে আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের আইনজীবী অ্যালিনা হাববা বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জরিমানাকৃত অর্থ পরিশোধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ আপিল আদালতের মাধ্যমেই তিনি এখন মোকাবিলা করবেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসে ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেন নিউইয়র্কের একটি আদালত।
জরিমানার অর্থ গত ২৫ মার্চের মধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আর তা না দিতে পারলে ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির একাংশ জব্দ করা হতে পারে- এমন নির্দেশও দেন আদালত।তবে নির্ধারিত সময়ে তা দিতে না পারায় সুদসহ গত এক মাসে তা বেড়ে ৪৬৪ মিলিয়ন বা ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়।
তবে সেই শর্ত পরিশোধে সামর্থ্য ছিল না ট্রাম্পের।তাঁর আইনজীবীরা প্রায় ৩০টি বিমা ও বন্ড কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রয়োজনীয় অঙ্কের বন্ড আদায় করতে পারেননি।ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রেখে তারা সেই ঝুঁকি নিতে চাননি।একারণে জরিমানার অর্থ কমানোর অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানা কমিয়ে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ধার্য করেন নিউ ইয়র্কের ওই আদালতের বিচারক এনগোরন।