আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর পদত্যাগে চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এরা হলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এতে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

মঙ্গলবার (৫ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ব্রিটিশ সরকারের প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন এই দুজন মন্ত্রী । আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে বরিস জনসন এত বড়ো বিপদের মুখে কখনও পড়েননি। এখন এ সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না, সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে সরকারে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন দুঃখপ্রকাশ করার পর তার দুই মন্ত্রী তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। দুই ব্রিটিশ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে লেখা পদত্যাগ পত্রে সরকার পরিচালনার মান বজায় রাখতে জনসনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

ঋষি সুনাক বলেছেন, জনগণ আশা করে যে, যথাযথভাবে, দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে সরকার পরিচালনা করা হবে। আর, সাজিদ জাভিদ বলেছেন, একের পর এক কেলেঙ্কারির পর তিনি মনে করেন না যে, এ সরকারের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে পারবেন। সাজিদ জাভিদ বলেন, অনেক এমপি ও জনগণ জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জনসনের ক্ষমতার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিক সাজিদ জাভিদ এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গেলো সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী জনসন স্বীকার করেন, এমন একজন ব্যক্তি যে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য নন, তা বুঝতে না পেরে তিনি ভুল করেছেন। এর আগেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে কোভিড মহামারির বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে পার্টি আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। এজন্য পুলিশ তাকে জরিমানাও করেছে।

স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, এটি এখন পরিষ্কার যে, সরকার ভেঙে পড়ছে।

গেলো মাসেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দলের এমপিদের আস্থা ভোটে জয়ী হন। যদিও দলের বিশালসংখ্যক এমপি তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। এ কারণে ব্রিটিশ আইন অনুসারে, আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। তবে, কয়েক জন এমপি তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এ আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন