আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা । বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২ বছর পর গেলো বুধবার (৬ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের বৃহত্তম আনুষ্ঠানিকতা । লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় কাবা তাওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম শুরু করেছেন।

সৌদি আরবের স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (৮ জিলহজ) হাজিরা মিনায় অবস্থান করবেন। রাতে মিনায় অবস্থান শেষে ফজর নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে রাতে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন করবেন ও সেখান থেকে পাথর সংগ্রহ করবেন। ফজর নামাজ আদায় শেষে তারা ১০ জিলহজ শনিবার মিনায় আসবেন। মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেটে মক্কায় যাবেন। মক্কায় এসে কাবা তাওয়াফ করবেন।

সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম এবার হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক।  মহামারীর কারণে দুই বছর সীমিত সংখ্যক লোকের হজ পালনের মাধ্যমে বৃহত্তম হজ অনুষ্ঠানের বিরতির পর এবার ১০ লাখ লোক হজ পালনের সুযোগ পেলেন।

মক্কায় মসজিদুল হারাম চত্বরে স্বর্ণালী হরফ খচিত কালো কাপড়ে আবৃত পবিত্র কাবাগৃহের ‘তওয়াফ’ এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গেলো ২০২০ এবং ২০২১ সালের চেয়ে এবারের হজের সমাবেশ অনেক বড়, তবে করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক হজের চেয়ে ছোট।

গেলো ২০১৯ সালে হজে প্রায় ২৫ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা এই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ইসলামের অবশ্য পালনীয় পাঁচটি স্তম্ভের একটি অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হঠাৎ হজ যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্য হয় সৌদি সরকার। ২০২১ সালে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেয়া মাত্র ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক এবং সৌদিতে বসবাসকারী লোকদের হজ পালনের সুযোগ দেয়া হয়। যা ২০২০ সালের চেয়ে কয়েক হাজার বেশী।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন