দেশজুড়ে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী কম, পরিবহন বেশি

ঈদ যাত্রায় নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। দেশের উত্তরাঞ্চলমুখী সড়কে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে যানবাহণের চাপ। মহাসড়কে যাত্রীদের তুলনায় যানবাহণের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। কাঙ্খিত যাত্রী না পেয়ে টার্মিনালে বাড়ছে পরিবহনের দীর্ঘ সারি। তবে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই সড়কে যাত্রীদের ঢল নামবে বলে আশঙ্কা করছেন হাইওয়ে ও শিল্প পুলিশ।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ (গাজীপুর) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, এবছর ঈদ যাত্রায় যানজট নিরসনে তিন স্তরে ছুটি দেয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো পোশাক কারখানা ৫ এপ্রিল থেকে বেতন-বোনাস দিয়ে কর্মীদের ছুটি দিয়েছে বাকি কারখানার ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি দেয়া হবে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যাত্রীর তুলনায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেশি। বাস কাউন্টার গুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। তবে কাউন্টার মালিকরা বলছেন দুপুর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে।

চন্দ্রা টার্মিণাল এলাকায় শ্যামলী বাস কাউন্টারে পরিচালক ওহাব মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে কয়েকদিন ধরেই মানুষ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। দীর্ঘ ছুটি পেয়ে আগে আগেই মানুষে চল গেছে। আবার অনেকেই এখন যাচ্ছে তাই কাউন্টারে তেমন একটা চাপ নেই।

সী লাইন পরিবহনের চালক হাসেম সরদার জানান,  অন্যান্য বছর একদিনেই মানুষের ঢল নামে।  তবে এবছর কয়েকদিন ধরেই মানুষ ভাগে ভাগে যাচ্ছে তাই চাপ কম। তবে শেষ দুইদিনে কিছুটা চাপ থাকবে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ যাত্রায় আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। যানজট নিরসন, ও যাত্রী নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ রয়েছে।

উল্লেখ্য, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর ও আশপাশের শিল্প কারখানাগুলো তিন ধাপে ছুটি হবে। ৭ এপ্রিল ১৫ -২০ শতাংশ কারখানা ছুটি হয়েছে, ৮ এপ্রিল ৪০-৫০ শতাংশ ও ৯ এপ্রিল বাকি কারখানা ছুটি দেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন