পদ্মায় ফেরি ডুবির ঘটনায় ১১ স্টাফ বরখাস্ত
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদীতে ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ঘটনায়। এর ১১ জন স্টাফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্বরতদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণেই ফেরিটি ডুবে যায় বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের বরখাস্ত করে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির চিফ পার্সনাল ম্যানেজার মো. ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত বরখাস্তের ওই আদেশে বলা হয়, সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ইনচার্জ মাস্টারের বিধি লঙ্ঘন এবং অন্যান্য কর্তব্যরত স্টাফদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, এমন আচরণ ও কার্যকলাপ চাকরি নিয়ম শৃঙ্খলাপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা-১৯৮৯ এর ৪৬ (১) ধারা মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। যথা সময়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হবে।
শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে এজন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ছেড়ে যাওয়ার আগেই প্রতিটি ফেরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রী ও পরিবহন ধারণক্ষমতা ফেরির সামনে লিখে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের সুপারিশগুলো প্রতি ট্রিপেই পালন করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় রজনীগন্ধা নামে ইউটিলিটি ফেরি। এতে প্রাণ হারান ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবীর। শুরুতে বাল্কহেডের ধাক্কায় এই ফেরি ডুবি হয় বলে প্রথমে বিআইডব্লিউটিসির ঘাট সংশ্লিষ্টরা প্রচার করেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান কোনো কিছুর ধাক্কায় নয়,ধীরে ধীরে একাই নোঙর করা ফেরিটি ডুবে যায়।
প্রসঙ্গত, ডুবে যাওয়ার আট দিনের মাথায় ফেরিটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। উদ্ধারের পর ফেরিটিকে মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।