দেশজুড়ে

আলপনায় রঙিন হাওরের ১৪ কিলোমিটার সড়ক

বৈশাখের রঙে রঙিন হলো হাওরের ১৪ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়ক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানোর প্রত্যয়ে অষ্টমবারের মতো এ আলপনার নাম দেয়া হয় আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসব।

রোববার পহেলা বৈশাখে (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মিঠামইন জিরো তুলির আঁচড়ের মাধ্যমে আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসবের সমাপ্তি করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বরেকর্ড গড়ার এই প্রচেষ্টা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, পাশাপাশি পর্যটন শিল্পকেও উদ্বুদ্ধ করবে।  আয়োজকদের প্রতি এসময়ে তিনি শুভকামনা জানান। একই সাথে  আশাবাদ ব্যক্ত করেন যেন তারা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করে দেশবাসীকে আনন্দে ভাসাতে পারে। এ আয়োজন ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

pohela32-20240414163026.jpg

এর আগে ১২ এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকার কাজ শুরু হয়। এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে অংশ নেন ৬৫০ জন শিল্পী।

বাংলালিংক এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান  বলেন, বাংলা আমাদের ঐতিহ্য, তাই এ উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক পরিবার গভীরভাবে দায়বদ্ধ। বাংলালিংক-এর এই আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও দেশীয় উৎসবকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।

আলপনা দেখতে আসা দর্শনার্থী আর জে অন্তর বলেন, আগে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলো স্কুল কলেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এবার হাওরের মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সব সময় বইয়ের মধ্যে এইসব দেখেছেন। আজ নিজ চোখে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে উৎসবের সমাপনী দিনের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুরসহ অনেকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন