‘জাহাজে আর্মড গার্ড থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না’
আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে গেলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ, ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তিনি তদন্ত করেছেন। তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশি নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।
এসময়ে চিট গ্রিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, তাদের (অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার) দেশে হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের দেশেও যাতে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদেশের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ হয়েছে। মিয়ানমার সরকার তাঁদের নদী পথে ফেরত নেবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে।