আন্তর্জাতিক

মুক্তিপণ আদায়ের পর আট সোমালিয়ান জলদস্যু আটক

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ থেকে মুক্তপণ আদায়ের পর আট জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে সোমালিয় পুলিশ। তবে এসময় তাদের থেকে মুক্তিপণ এর টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দেশটির পূর্ব উপকূল পান্টল্যান্ড থেকে এসব জলদস্যুদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে সোমালিয় সংবাদ মাধ্যম গারুই অনলাইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দেয়ার পরেই তাঁদের আটক করা হয়। বিগত তিনমাস ধরে সোমালিয় সরকার জলদস্যুদের নিয়ে বেশ বিপাকে রয়েছে। জলদস্যুরা আল-শাবাব জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগ দেয়ায় পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

পান্টল্যান্ড পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, তারা এমভি আবদুল্লাহ হাইজ্যাকের সাথে জড়িত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছেন। তবে তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কি না সেটি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, টাকার বিনিময়ে জিম্মি মুক্তি দেয়ার চর্চা চালু হলে এটি  জলদস্যুতাকে আরও উৎসাহিত করবে। পান্টল্যান্ড উপকূল বেশ কিছুদিন ধরেই জলদস্যুদের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পান্টল্যান্ড মেরিন পুলিশ সোমালিয়ার বিদেশী মিত্রদের সহায়তায় সোমালিয় উপকূলে জলদস্যুতা নির্মূল করতে তাঁদের নজরদারি জোরদার করেছে। মূলত এ অঞ্চলে কতৃত্ব জোরদার করতেই মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করছে সোমালিয় সরকার।

প্রসঙ্গত, এর আগে সোমালিয়ার গণমাধ্যম ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জাহাজসহ ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্তির কথা জানায়। যদিও মুক্তিপণের বিষয়ে চুক্তি অনুযায়ী কিছুই জানায় নি এমভি আব্দুল্লাহর  মালিক এসআর শিপিং।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন