আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হিলি স্থলবন্দরে ২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দরে  দিনাজপুরের হিলি  স্থলবন্দর।  হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছর শেষে আহরণ হয়েছে ৪২৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এই স্থলবন্দর ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। চালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি কমার কারণে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। এদিকে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিরাজমান সমস্যা নিরসন করা হলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ জানান, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় হিলি স্থলবন্দরের ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য রয়েছে, যার কারণে আমদানিকারকদের ইচ্ছা থাকলেও অনেক পণ্য আমদানি করতে পারেন না তারা। এছাড়া বন্দরের সড়কগুলো খারাপ। ভেতরে যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় লাগায় পণ্য আমদানি করে লোকসান গুনছেন আমদানিকারকরা। এসব সমস্যার সমাধান করা হলে ব্যবসার উন্নতি হবে সেই সাথে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল আমদানিতে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার মতো। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল আমদানিতে শুল্কহার বাড়ানোয় বন্দর দিয়ে আমদানি পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ফলে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে অন্যান্য শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি কিছুটা কম হওয়ার প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে সরকার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আগামীতে এই বন্দরে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি হবে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন