আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইউরোপের তিন দেশ- ফ্রান্স, পর্তুগাল এবং স্পেন। প্রতিদিনই বাড়ছে এ দাবানলের ভয়াবহতা। পুড়ছে কয়েক হাজার হেক্টর জমি। কমার কোনো লক্ষণ নেই এ দাবানলের।

সপ্তাহখানেক ধরে চলা দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দমকলকর্মীরা। অতিরিক্ত গরম থেকে সৃষ্ট এ দাবানলে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। পর্তুগালের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গেলো ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত দাবানলে ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দাবানলে স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এরই মধ্যে দাবানলের কারণে ফ্রান্সের গিরোন্ডে অঞ্চলে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে দাবানল। দেশটির আটলান্টিক উপকূলের ২২ অঞ্চলে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ এলার্ট। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তিন হাজার কর্মী।

পর্তুগালের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত দাবানলে ৩০ হাজার হেক্টর জমি পুরে গেছে। গেলো বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি এলাকায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা জুলাই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গেলো শুক্রবার উত্তর পর্তুগালের ব্রাগানকা অঞ্চলে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত একটি উড়োজাহাজ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন উড়োজাহাজের এক পাইলট।

গেলো বৃহস্পতিবার পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা টেমিডো বলেন, দাবানলের কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ‘উদ্বেগজনক’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অতিরিক্ত গরম থেকে দেশটিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

সাধারণের চেয়ে এবার অনেক আগেই দাবদাহের কবলে স্পেন। চলতি বছরে এটি স্পেনে দ্বিতীয় তাপপ্রবাহ। গেলো শনিবার (১৬ জুলাই) স্পেনে ৪৫ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দাবানলে শুধুমাত্র সিয়েরা ডেলা অঞ্চলেই পুড়েছে ১৩ হাজার হেক্টর জমি ।

স্পেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সারাদেশে ১৭টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চলের মিজাস পাহাড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় খালি করা হয়েছে আটি গ্রাম।

ইতালিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গ্রিসের ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানল বাতাসের গতির কারণে নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে কর্মীরা।

এদিকে মরক্কোর ৪ প্রদেশে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবানলের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আবহাওয়ার এমন বিরূপ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। এমন অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন