দেশজুড়ে

বাবা-ছেলেকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়াতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি ও এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াইংগাকাটা এলাকার ঘোনারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেয়ান ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫৫) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গেলো কয়েক বছর ধরে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু পাচার হয়ে আসছে। অধিকাংশ গরু আসে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত হয়ে। পরে তা রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, ঈদগড় হয়ে জেলার ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হয়। এসব অবৈধ বার্মিজ গরু পাচারকে কেন্দ্র করে কয়েক গ্রুপ এসব এলাকায় মুখোমুখি হয়। এমনই কোনো ঘটনায় বাবা-ছেলে খুন হয়ে থাকতে পারেন।

ঘটনার পরপরই গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান গণমাধ্যমে বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার নিয়ে গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ায় আরও দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। তবে গত রাতের বাবা-ছেলের জোড়া খুনের ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন