পরামর্শ

রাতে ঘুমানোর আগে পা না ধুলে যে সমস্যা হতে পারে

রাতে ঘুমোনোর আগে পানি খান। ফোন বন্ধ করেন। আলো নিভিয়ে দেন। এগুলি সবই তো অভ্যাস মতো করেন। কিন্তু এগুলির পাশাপাশি কি পা ধুয়ে নেন? অনেকের এই অভ্যাস থাকলেও সকলের নেই। যাঁদের নেই, তাদের জন্য এই প্রতিবেদন। ভালো করে জেনে নিন এর ফলে কী কী হয়।

১. শরীরের মধ্যে পা সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। ছত্রাক-ব্যাকটিরিয়ার আবাসস্থলে পরিণত হয় এটি। যদি নিয়মিত পা ধুয়ে না থাকেন,তাহলে জীবাণুরা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো শরীরে। সেইসঙ্গে পায়ের চামড়া ওঠা, চুলকানি, ঘা, র‌্যাশ, আঙুলের ফাঁকে ফাংগাল ইনফেকশনসহ চর্মরোগ হতে পারে। তবে তালিকা এটুকুই নয়। রাতে ঘুমোনোর আগে পা ধুলে আর কী কী হয়, জেনে নিন সেগুলি।

২. শরীরের মধ্যে পা সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। ছত্রাক-ব্যাকটিরিয়ার আবাসস্থলে পরিণত হয় এটি। যদি নিয়মিত পা ধুয়ে না থাকেন, তাহলে জীবাণুরা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো শরীরে। সেইসঙ্গে পায়ের চামড়া ওঠা, চুলকানি, ঘা, র‌্যাশ, আঙুলের ফাঁকে ফাংগাল ইনফেকশনসহ চর্মরোগ হতে পারে। তবে তালিকা এটুকুই নয়।

৩. চিকিৎসকদের মতে, ঘুমোনোর আগে পা না ধুলে বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই রাতে ঘুমোনোর আগে ভালো করে পাধুতে হবে। এর ফলে বেশ কয়েকটি উপকারও পাবেন।

৪ জয়েন্ট এবং পেশির ব্যথা কমে: আমাদের পা পুরো শরীরের ওজন বহন করে। তারপর আবার টাইট বা ভুল মাপের জুতো পরলে বিভিন্ন কারণে পায়ে ব্যথা, ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি হতে পারে। তাই পায়ের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। রাতে হালকা গরম পানি পা ধুলে আরাম পাবেন। পায়ের জয়েন্ট এবং পেশিগুলো তখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। এতে ব্যথাও কমতে পারে।

৫. শারীরিক তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত এভাবে পা ধোওয়া উচিত। জুতো পরার কারণে পায়ের তাপ বেড়ে যায়। কারণ সারাদিন পা বন্ধ অবস্থায় থাকে। ঘুমোনোর আগে পা ধুলে রাতে আরও ভালো ঘুম হবে।

৬. পায়ের তলার ত্বক ভালো থাকে: সারাদিন পা মাটিতে বা জুতার মধ্যে থাকে। তাই পায়ের তলা কখনও আরাম পায় না। সেই সঙ্গে ছত্রাক-ব্যাকটিরিয়া তো আছেই! তাই রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে নিলে, পায়ের তলায় ত্বকের খুবই উপকার হয়।

৭. খারাপ গন্ধ দূর হয়: অনেক সময় জুতো পরার কারণে পা ঘামার ফলে দুর্গন্ধ হতে পারে। সেই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা সময় হল রাত। রাতে ঘুমোনোর আগে ভালো করে গরম জলে পা ধুলে দুর্গন্ধ মুহূর্তেই দূর হবে। এই সমস্যা কমেও যাবে ধীরে ধীরে।

৮. এবার কথা হল, কীভাবে পা ধোবেন? পাত্রে হালকা গরম জল নিন। তাতে সামান্য নুন মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার এই জলে ৫-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পা পরিষ্কার করতে একটি লুফাহ স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। ভালো করে আঙুলগুলো পরিষ্কার করুন। এর পরে পা শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। আঙুলের ফাঁকগুলি ভালো করে মুছে নিন। এখানেই ছত্রাক এবং ব্যাকটিরিয়াগুলো লুকিয়ে থাকে।

৯. এর পরে চাইলে পা নারকেল তেল হাতে নিয়ে মাসাজ করতে পারেন। নারকেল তেল কেবল আপনার পা ময়েশ্চারাইজড করবে না, এতে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্যও আছে। সেটিও পায়ের ত্বকের উপকার করবে।

১০. তবে মনে রাখবেন, যে কোনও সমস্যায় এই সব ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তিনি বলে দিলে, তবেই এই সব কাজ করবেন। আর নিজে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন